একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও এটির সিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে কংগ্রেসকে আহ্বান করার পর এ পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ মহামারী নিয়ন্ত্রণে নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও কর্মজীবী নারীদেরকে বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান, এবং মিষ্টি-পানীয়ের উপর করারোপ নিশ্চিতের পরামর্শ দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) জানায় ২০১৯ সালে আমেরিকানদের মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ ছিল ডায়াবেটিস ও সে বছর ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ এ রোগে মারা যায়। এবং তারপর থেকে প্রতি বছর (২০২০ ও ২০২১) সংখ্যাটি লাখ ছাড়ায়।
দেশটির রোগতত্ত্ববিধ ডাক্তার পল হু বলেন, "টানা দ্বিতীয় বছরের মত ডায়াবেটিসে এতো বেশি মৃত্যু নিশ্চিতভাবেই বিপদ সংকেত। যদিও টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিজেই তুলনামূলকভাবে প্রতিরোধযোগ্য, তবু বহু মানুষ মারা যাওয়া মর্মান্তিক।"
এদিকে কংগ্রেস গঠিত ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল কেয়ার কমিশন এর এক নতুন প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ বা ৩ কোটি ৭০ লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
উক্ত কমিশন বলছে চিকিৎসক দেখানো ও ওষধ বিশেষ করে ইনসুলিনের খরচ অত্যাধিক বেশি হওয়ায় বহু রোগী সময়মত চিকিৎসা করাতে পারছেনা। তাই তারা ও দেশটির আইনপ্রণেতারা দাবি তুলেছেন চিকিৎসা ব্যয় কমানোর।