সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর প্রধান আবু ইব্রাহীম আল হাশেমী আল কুরাইশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার এক ভাষণে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর আল জাজিরার।
![]() |
সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানে ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া একটি বাড়ি, যে হামলায় আইএস প্রধান আল কুরাইশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: আল জাজিরার। |
বাইডেন বলেন, "আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও সাহসিকতাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আইএস নেতা আবু ইব্রাহীম আল হাশেমী আল কুরাইশিকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বের করে এনেছি।"
এর আগে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন উক্ত অভিযানের শুরুতে আল কুরাইশি একটি বোমা নিক্ষেপ করলে এতে সে নিজে এবং নারী ও শিশুসহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন। তবে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
পরে বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, "সে (আল কুরাইশি) যে অপরাধ করেছে, তার জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বদলে নিজেই নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। সঙ্গে তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকেও নিয়ে গেল।"
এই অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হুমকি খুঁজে বের করার সক্ষমতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, "সন্ত্রাসী হুমকী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে নিরাপদ রাখতে আমি সংকল্পবদ্ধ। এবং এই দেশকে রক্ষা করতে সঠিক পদক্ষেপটিই নেব।"
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী কর্তৃক আইএস এর সাবেক প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী নিহত হওয়ার পর ২০১৯ সালে সংগঠনটির নতুন প্রধানের দায়িত্বে আসেন আল কুরাইশি। তার সম্পর্কে তথ্য ও তার অবস্থান জানার জন্য মার্কিন সরকার ২০২০ সালে ১ কোটি ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে ১৯৭৬ সালে ইরাকের মসুলে জন্ম নেওয়া আল কুরাইশি ইরাকে আইএসআইএস এর পূর্বতন সংগঠন আল কায়েদার একজন ধর্মীয় পণ্ডিত ছিল এবং পরবর্তিতে আইএসআইএস এর উপ আমীর এর পদ মর্যাদা লাভ করে।
সে এমন একটা সময়ে প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে যখন আইএস সিরিয়ায় আঞ্চলিকভাবে হেরে যাওয়ার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) ও গোষ্ঠিটির মধ্যে বেশকিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তারপর এ বছরের জানুয়ারিতে সমন্বিত আক্রমণের মাধ্যমে দেশটির উত্তরে একটি কারাগার থেকে হাজার হাজার অনুসারীকে বের করে আনার চেষ্টা চালায় আইএস, যা পরে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়।